সীমিত আয়ের কতগুলি লোক স্বেচ্ছায় পরষ্পর সম্মিলিত হয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত একটি ব্যবসা স্থাপনের মাধ্যমে তাদের কোন সাধারণ অর্থনৈতিক সুউদ্দেশ্য সাধনের জন্য সচেষ্ট হয়ে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন নিজেরাই ন্যায় নীতির ভিত্তিতে প্রদান করে এবং ব্যবসায়ের লাভ-ক্ষতি ন্যায় নীতির ভিত্তিতে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে রাজী হলে তাকেই সমবায় বলে।
বাংলাদেশের সমবায় বিভাগের মতানুযায়ী "সমশ্রেণী বা সমপেশাভূক্ত কতিপয় ব্যক্তি একে অপরের সাহায্যে নিজেদের আর্থিক ও সামাজিক উন্নতি বিধানের লক্ষ্যে সমবায় আইনের অধীনে নিবন্ধিত যে ব্যবসায় সংস্থা গটন ও পরিচালিত হয় তাকে সমবায় সমিতি বলে।"
সমবায় সমিতি অসীম দায় অথবা সসীমদায়ের ভিত্তিতে সমবায় সমিতি আইন ও সমবায় সমিতি বিধিমালা অনুযায়ী কৃত্রিম ও স্বতন্ত্র সত্তা হিসেবে সংগঠিত হয়ে থাকে, এর নিজস্ব সাধারণ সীল মোহর থাকে, নিজ নামেই এটি পরিচিত। সমিতি নিজ নামে অন্যের বিপক্ষে মামলা দায়ের করতে পারে এবং অপরের নামে এর বিপক্ষে মামলা দায়ের করতে পারে। বাংলাদেশের সমবায় সমিতিগুলো সমবায় সমিতি আইন, ২০০১(সংশোধিত ২০০২ ও ২০১৩) এবং সমবায় সমিতি বিধিমালা, ২০০৪ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত।
সমবায়ের নীতিমালাঃ আন্তর্জাতিক সমবায় মৈত্রি সংস্থা বা আইসিএ কর্তৃক স্বীকৃত সমবায়ের ০৭ টি মূলনীতি অনুসরণ করা হয়ঃ
০১) স্বতঃস্ফুর্ত এবং অবাধ সদস্যপদ;
০২) সদস্যের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ;
০৩) সদস্যের আর্থিক অংশগ্রহণ;
০৪) স্বায়ত্বশাসন ও স্বাধীনতা;
০৫) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং তথ্য;
০৬) আন্তঃসমবায় সহযোগিতা এবং
০৭) সামাজিক অঙ্গীকার।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস